| বিবরণ |
চেনা বন্ধু অচেনা পথ, ‘ঘর, ‘অহনা ও ‘পাথরপরান-এ চার উপন্যাস নিয়ে ‘মোহিত কামালের উপন্যাসসমগ্র দ্বিতীয় খ--এর নামকরণ করা হয়েছে ‘চলার পথের ফাঁদ।চেনা বন্ধু অচেনা পথ : আজকের বিশ্বের প্রযুক্তি- ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ই-মেইল, মুঠোফোন এসব জনপ্রিয় ভার্চুয়াল বাহন এ উপন্যাসের ‘উৎসভূমি। তরুণ প্রজন্মের মনস্তত্ত্ব, বন্ধুত্ব, শিক্ষাজীবন, পারিবারিক ও সমাজিক জীবনের মর্মগাথা চলচ্চিত্রিক বিভঙ্গে চিত্রিত হয়েছে। সাইবার ক্রাইম থেকে নৈতিক অবক্ষয়ের বিপরীতে মূল্যবোধের উজ্জ্বল-উদ্ধার আরাধ্য হয়ে ওঠে পাঠকের।ঘর : মনের সঙ্গে মনের সংঘাত গুচ্ছ-বোমার চেয়েও ভয়ংকর। সংঘাতের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় মমতা-এ সংঘাতে রক্তক্ষরণ হয় না, মনজমিন ফেটে চৌচির হয়ে যায়। সমাজ বদলে যায়। বদলে যায় পুরোনো ধ্যানধারণা। সংগোপনে বদলে যায় উৎসকেন্দ্র, মনঘর। অসংখ্য মনঘর দিয়েই তৈরি হয় একটি সমাজঘর। দুঃসাহসী ও আত্মপ্রত্যয়ী মিমকে ঘিরে এগিয়ে চলে সমাজঘরের কাহিনি।অহনা : বাসররাতেই জৈবিক সম্পর্কে মাতৃত্ব ধারণ করে অহনা। উপন্যাসের কাহিনিতে এ বাস্তবতার ভিত খুঁড়ে পরাবাস্তবের ধ্বনি জেগে ওঠে; নৈতিক শক্তির প্রতীক হিসেবে ভ্রƒণের কণ্ঠস্বর শুনতে পায় অহনা। এ অলোকসামান্য পরাবাস্তবিক সংযোগ ঘটে উপন্যাসের পাতায় নয়, জীবনেও। পাথরপরান : কেন্দ্রীয় চরিত্র মণি রূপবতী ও গুণবতী এবং খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। পুরুষ সহকর্মীর অনৈতিক আহ্বানে সাড়া দিতে অপারগ মণিকে মুখোমুখি হতে হয় বৈরী পরিস্থিতির। পাশাপাশি মদ্যপ স্বামীর কুৎসিত আচরণে বিপর্যস্ত এ সচেতন মানবীর মন আঘাতে আঘাতে প্রস্তরে পরিণত হয়। আবার পাথরেও ফোটে ফুল। যে-ফুল মুক্ত, বিকশিত সুগন্ধে ভরপুর জীবনেরই অন্য নাম। |
