বিবরণ |
পরদিন মাদরাসায় যাওয়ার পর বড় হুজুর দফতরে ডাকালেন। ভূমিকা ছাড়াই বললেন, ‘তুমি বিয়ে করতে চেয়েছ। একটা প্রস্তাব আছে। মেয়ের আগে একবার বিয়ে হয়েছে। আগের সংসারে একটি ছেলেও আছে। বয়সে তোমার চেয়ে সাত-আট বছরের ছোট হবে। মেয়েটি মাদরাসায়ও কয়েক জামাত পড়েছে। অত্যন্ত দ্বীনদার। খাস পর্দাশীল। তার মরহুম স্বামী ও বাবার দেওয়া সম্পত্তি মিলিয়ে মেয়েটি অনেক সম্পদের মালিক। সবচেয়ে বড় কথা মেয়েটি তোমাকে বিয়ে করতে অনাপত্তি জানিয়েছে। তোমার সুদবিরোধী অনঢ় অবস্থান মেয়েকে তো বটেই, মেয়ের বাবাকেও ভীষণ মুগ্ধ করেছে।’ আমি তো রীতিমতো আকাশ তেকে পড়লাম। আজ ভোরে যার কথা কল্পনা করলাম, তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবই আমার কাছে এলো। এটা কি গায়েবি ইশারা? আল্লাহর কুদরতি ফয়সালা? হুজুর বললেন, ‘ইস্তেখারা করে জানাতে।’ আমি মনে মনে বললাম, ইস্তেখারা অবশ্যই করব, তবে আমার মনে হয় আল্লাহ তাআলা এখানেই আমার নিয়তি বেঁধে রেখেছেন। আমি বালেগ হওয়ার পর থেকেই একজন নেককার মুত্তাকী বিবির জন্য নিয়মিত দোয়া করে আসছি। আল্লাহ কবুল করেছেন |