বিবরণ |
"ভাঙামন্দির অভিযান" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া মন্দিরটার কথা শুনেছি সেই ছোটবেলা থেকেই। তখন আমার জন্ম হয়নি। বাবা বলতেন, দেশ ভাগের সময় এদেশে প্রচুর মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। হিন্দুদের কোন চিহ্নই রাখবে না বলে। মন্দিরটা ভাঙতে যায়। তবে পুরোপুরি ভাঙতে পারেনি। শোনা যায়, মন্দির ভাঙার সময় দুই জন শ্রমিকের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। অন্যরা ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই থেকে ঐ মন্দির সবাই অভিশপ্ত বলে। মা কালীর উদ্দেশ্য করে কেউ আর পাঠা বলী দেয় না। হিন্দু নাই, কে পূজো করবে? কালী মা তাই রাগে অভিমানে প্রতিবছর কার্তিক মাসের অমাবস্যায় একটি করে যুবক ধরে নিয়ে বলী দেয়। আর সেই যুবকদের হাত, পা, মাথা, রক্ত মাখা জামা-কাপর মন্দিরের এক এক স্থানে পাওয়া যায়। এছাড়াও কালী-মা মাঝেমধ্যে অভিমান করে দুই চারটে বলী দেয়। এ জন্য ওই মন্দিরের আশে পাশে কেউ ঘর বাড়িও তৈরি করে না। একবার আশু ব্যাপারি সবার মানা করা সত্যেও মন্দিরের কিছু দুরে বনের ভেতর একটা বাংলো তৈরি করে। বেশ কয়েক দিন ভালোই চলছিল। ভাদ্র মাসে মাগী পূর্ণিমায় ব্যাপারির ছেলে আজাদ রাতে বাংলোয় ঘুমায়। রাত দুটোর দিকে সবাই আজাদের চিৎকার শুনতে পায়। কেউ ভয়ে বের হয় না। সকালে সবাই আজাদের রক্তমাখা দেহ মন্দিরের পাশে আবিষ্কার করে। সেই থেকে ব্যাপারির ওই বাংলোয় কেউ থাকে না। |