0

কার্টে কোনো বই নেই

product image page image
↑ একটু পড়ে দেখুন
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও দুঃশাসন
(0 review)
Wishlist

Wishlist

৳৬৭০ ৳৯০০ ২৬% ছাড়!
  • ৭ দিনের রিটার্ন পলিসি
  • ক্যাশ অন ডেলিভারি এভেইলেবল
  • স্টক:২০টি কপি স্টকে আছে
ISBN N/A
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৮০
সংস্করণ ২০২৫
দেশ বাংলাদেশ
ভাষা বাংলা
বিবরণ ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও দুঃশাসন’ দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত কমিশনের ‘শ্বেতপত্রে’ বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশিত খুনি শেখ হাসিনার অপশাসন, অনিয়ম, দুর্নীতির তথ্য ও বিশ্লেষণের সংকলন। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের আগেই সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও এনবিআর পরিচালক মতিউর রহমানের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়। এমনকি কাতারভিত্তিক মিডিয়া আল জাজিরা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ ডকুমেন্টারিটিতে জেনারেল আজিজের দুর্নীতির অনেক খবর প্রকাশ করে। আসলে হাসিনা দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। তার জনৈক পিয়নের ৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়ার ঘটনা তিনি নিজেই সর্বসমক্ষে প্রকাশ করেছিলেন। শেখ হাসিনার ভুলের মাসুল দিতে হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে। খুনি শেখ হাসিনা জবাবদিহির ঊর্ধ্বে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ ও অর্থপাচারসহ নানা রকমের দুর্বৃত্তায়নের যে শৃঙ্খল গড়ে তুলেছিলেন তারই বাস্তবতাকে দুঃশাসন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। গ্রন্থে সন্নিবেশিত প্রকাশিত সংবাদগুলো পাঠ করলে দেখা যায়, দুর্নীতি মোকাবেলার চেষ্টাকে পরিহাসে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রাধান্য পেয়েছিল, ঘুষ লেনদেন ছিল অনেকটাই অপেন সিক্রেট। ফলে বিচার-বহিভর্‚ত হত্যা, গুম, মামলা-হামলা দিয়ে যে ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়েছিল তা ছিল দুর্নীতির অনুগামী। সর্বত্রই অনিয়ম, অরাজকতা, বাক-স্বাধীনতা হরণ আর বিরোধীদের দমানোর জন্য পুলিশ, র‍্যাব, আর্মিকে ব্যবহার করা ছিল নিষ্ঠুর শাসকের অন্যতম হেজিমনি। ‘শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ ও অগণতান্ত্রিক’ - বিএনপি’র তরফ থেকে এই মন্তব্য ছিল ২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সেদিন বিএনপি দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিল। একসময় আদালতের বিচারকরা শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, ‘রঙ হেডেড’। আমরা তাকে বলি ‘Predator’। যে কিনা ম মানুষের খুলিতে জীবিত মানুষের রক্ত ও মগজ খায়। যে হত্যার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পায়। হাসিনার হিংস্র মনোভাবকে আগামী প্রজন্ম ঘৃণার সঙ্গে স্মরণ করবে। ২০০৯ সাল থেকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দুর্নীতিতে জড়িত; ২০২৪ সালে এসে গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা যায়, তারা আপাদমস্তক অপশাসন ও দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল। গত ১৬ বছর কেবল নয় অতীতে শেখ মুজিবের আমল (১৯৭২-১৯৭৫) এবং ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল অবধি মহাজোট সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের সামগ্রিক চিত্র উপস্থাপনের প্রয়াসও প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলামের বর্তমান গ্রন্থে লক্ষণীয়।
লেখকের নাম প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম (সম্পাদক)
পরিচিতি N/A