বিবরণ |
ভূমেন্দ্র গুহ লিখেছেন, “১৯৩৪’র মার্চ মাসে কবি জীবনানন্দ দাশ যখন একরকম বাধ্যতামূলকভাবে নানাভাবে নানা দিকে বিড়ম্বিত বােধ করছিলেন, এবং অনন্যোপায়ের মতাে স্মৃতিসত্তা সান্ত্বনার মতাে এক প্রকৃতির সন্নিধানে গিয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন, তখন ‘একটি বিশেষ ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়ে ‘আবহমান বাংলা ও বাঙালী’র প্রেক্ষিতে কতকগুলি ‘সনেট-জাতীয় কবিতা দু'-তিন দিনের ভিতরে লিখে ফেলেছিলেন; লেখাগুলি খুব সহজেই হয়ে উঠেছিল নিজের, লিখবার তাড়া ও তাদের অবয়ব প্রায় পূর্ণ দৃষ্টিলােকী হয়ে উঠেছিল।” জীবনানন্দ এ কবিতাগুলাে বাংলার ত্রস্ত নীলিমা নামে প্রকাশ করার কথা ভেবেছিলেন। অনেক ভাবনার মতাে এ ভাবনাটিও জীবনানন্দ বাস্তবায়ন করেননি। ১৯৫৪-এ জীবনানন্দ’র মৃত্যুর প্রায় ৬৬ বছর পর সাহিত্যসমালােচক অধ্যাপক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী’র উদ্যোগে ২০২১-এ ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হলাে। |