লেখক | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
বিষয় | চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশক | শোভা প্রকাশ |
ISBN | 9789849333906 |
---|---|
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 495 |
সংস্করণ | 1st Published, 2022 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিবরণ | শ্রীকান্তচারটি খণ্ডে প্রকাশিত ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসে অনেক চরিত্র, উপ—চরিত্র, আখ্যান, উপ—আখ্যান শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তৈরি করেছেন যা মূলত নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার ধারাবাহিক বহিঃপ্রকাশ। তাঁর ব্যক্তিগত আনন্দ ও আত্মার তুষ্টির দেখা মিলবে এই উপন্যাসে। শ্রীকান্তের জীবনে প্রবেশ করেছে নানা নারী চরিত্র অন্নদাদিদি, পিয়ারী, রাজলক্ষী, অভয়া, সুনন্দা, কমললতা সকলেই প্রাতিস্বিকতায় আলাদা। স্বাভাবিক সামাজিক অস্থিরতায় আচ্ছন্ন শ্রীকান্ত কোথাও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি কোনো নারীর মনেও না; কোনো নারীর জন্যও না। কিন্তু এক ধরনের স্মৃতিকাতরতা তার মধ্যে ছিল। ফেলে—আসা দিনের কাউকেই তিনি একেবারে হারিয়ে ফেলেননি। যাদের প্রভাব নিজের অনুভবকে তাড়িত করেছে, তাদেরকে শ্রীকান্ত অনুভবের শৈল্পিকতার মাঝে স্থান দিয়েছেন পরম মমতায়। নির্লিপ্ততা কিংবা অনাসক্তির ভেতরেও যে প্রবল এক আকর্ষণ— বিকর্ষণ— চেতনা খেলা করে তার বাস্তবতাকে শ্রীকান্ত অস্বীকার করতে পারেননি কিছুতেই। তাই, প্রেম-ভালোবাসা-বিরহ-চাওয়া-পাওয়া-আবেগ এ সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে শ্রীকান্তের আভিজাত্য। |
লেখকের নাম | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
পরিচিতি | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ ; ৩১ ভাদ্র ১২৮৩ - ২ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।[২][৩] লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।[২] বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার জন্য তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷[৪] এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।[৫] শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, এবং সেগুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। |