লেখক | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
বিষয় | উপন্যাস |
প্রকাশক | শোভা প্রকাশ |
ISBN | 9789849411109 |
---|---|
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 80 |
সংস্করণ | 1st Published, 2022 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিবরণ | একান্নবর্তী পরিবারের পারিবারিক সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, টানাপোড়নসহ নানা ঘটনা গল্পটিতে উঠে এসেছে। দুই বৈমাত্রেয় জ্ঞাতি ভাই যাদব ও মাধব। কিন্তু আপন ভাই ব্যতীত নিজেদেরকে তারা কখনো অন্যকিছু ভাবেনি। অভাব-অনটনের মাঝেও মাধবকে আইন পাশ করায় যাদব ও তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা। জমিদারকন্যা বিন্দু বউ হয়ে আসে মাধবের ঘরে। অল্পতেই প্রচণ্ড অভিমানী বিন্দুর অভ্যাস ছিল মূর্ছা যাওয়া। একদিন বিন্দুর মূর্ছা যাওয়ার পূর্বে অন্নপূর্ণা তার দেড় বছরের ছেলে অমূল্যচরণকে বিন্দুর কোলে তুলে দেওয়ার পর দেখা গেল বিন্দু আর মূর্ছা যায় না। এরপর থেকে অমূল্য বিন্দুর কাছে মানুষ হতে থাকে এবং তাকেই মা বলে ডাকে। পরবর্তীতে যাদব-মাধবের বোন এলোকেশী ঠাঁই নেয় তাদের সংসারে। এলোকেশীর ছেলে নরেনের সাথে সখ্যতার দরুন অমূল্য বখে যেতে শুরু করে। আর তার ফলে দূরত্ব সৃষ্টি হয় অন্নপূর্ণা ও বিন্দুর মাঝে। এভাবেই নতুন মোড় নেয় গল্পটি। |
লেখকের নাম | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
পরিচিতি | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ ; ৩১ ভাদ্র ১২৮৩ - ২ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।[২][৩] লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।[২] বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার জন্য তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷[৪] এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।[৫] শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, এবং সেগুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। |