লেখক | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
বিষয় | চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশক | প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN | 9789848154106 |
---|---|
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 271 |
সংস্করণ | 2020 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিবরণ | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘শেষ প্রশ্ন’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নিত্য রূপান্তরশীল মানুষ, জীবন ও সমাজের চলমান আদলটিকে ধরার চেষ্টা করেছেন বিশ শতকের প্রথমার্ধের মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ভারতীয় বাঙালির মন-মানস এবং পটভূমির পরিপ্রেক্ষিতে। চলমান তিরিশোত্তর আধুনিকতাবাদী সাহিত্যের সর্বৈব ঋণাত্মক, ক্লেদাক্ত এবং বিপন্ন জীবনবোধের বিপরীতে যথার্থ যুক্তিনিষ্ঠ আধুনিকতাকে ধারণ করেই একটি শুভ, সুন্দর, জীবনবাদী প্রত্যয়কে তুলে ধরার প্রচেষ্টা ছিল তাঁর। শরৎচন্দ্র শুধু গর্জন করে নোংরা কথা বলেই তাঁর দায়িত্ব শেষ করেননি, দায়বোধ করেছেন জীবনকে সেই নোংরামি থেকে উদ্ধারের উপায় সন্ধানেও। জ্ঞান আর সৌন্দর্যের সাধনাই সেই উপায়। যে প্রত্যয় নিয়ে লেখক ‘শেষ প্রশ্ন’ উপন্যাস রচনা করেছিলেন তাঁর সেই প্রত্যয় শেষ পর্যন্ত রচিত হয়েছে বলেই আমরা মনে করি। শুধুমাত্র জীবনের ক্লেদ ঘাঁটাঘাঁটি নয়, আধুনিক সাহিত্যের আরো কিছু করবার আছে। কাহিনি বিন্যাস, ভাষা নির্মাণ এবং জীবনদর্শনের অভিনবত্বে শেষ প্রশ্ন উপন্যাস নিঃসন্দেহে শিল্প-সাফল্যের দাবিদার। সাহিত্যের শিল্পমান অবশেষে নির্ণীত হয় কালের কষ্টিপাথরের নিরিখেই। সে বিচারেও উপন্যাসটি উত্তীর্ণ। প্রথম প্রকাশের পর প্রায় একশো বছরের কাছাকাছি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ‘শেষ প্রশ্ন’র পাঠকপ্রিয়তা তারই প্রমাণ। |
লেখকের নাম | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
পরিচিতি | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ ; ৩১ ভাদ্র ১২৮৩ - ২ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।[২][৩] লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।[২] বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার জন্য তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷[৪] এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।[৫] শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, এবং সেগুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। |