বিবরণ |
ছোট্ট বন্ধুরা, তোমাদের জন্যে আমি খুব বেশি লিখিনি। প্রথম লেখা নীলহাতী। মাত্র দু হাজার কপি ছাপা হয়েছিল। দশ বছর পর খোঁজ নিয়ে দেখি অর্ধেকের মত বই গুদামে পড়ে আছে। আমার ধারণা হল বাচ্চারা আমার লেখা পছন্দ করে না। মন বেশ খারাপ হল। যাদের জন্যে লেখা তারাই যদি না পড়ে তাহলে কি হবে লিখে? মাঝে মাঝে খুব লিখতে ইচ্ছে করত। তখন করতাম কি, গল্পগুলি আমার বাচ্চাদের বলতাম। লিখতাম না। নীলহাতী প্রকাশিত হবার এগারো বছর পর আবার লিখলাম তোমাদের জন্যে রূপকথা, পুতুল, সূর্যের দিন। শিশু পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে লিখলাম 'বোতলভূত'। বেশির ভাগ লেখার মূল কারণ আমার বাচ্চারা। এরা ক্রমাগত বলত - আমাদের জন্যে লিখতে হবে। লিখতেই হবে। কানের কাছে সারাক্ষণ ঘ্যানঘ্যান করলে কার ভাল লাগে? তোমাদের জন্যে যেসব লেখা লিখেছি তার সবক'টি একসঙ্গে করে প্রকাশ করছেন কাকলী প্রকাশনীর সেলিম সাহেব। কিশোরসমগ্র তোমাদের যদি পছন্দ হয় তাহলে তাকে ধন্যবাদ দিতে পার। পছন্দ না হলে তাঁকে বকা দেবে, কারণ কিশোরসমগ্র প্রকাশের আমার কোন ইচ্ছা ছিল না। সেলিম সাহেব প্রায় জোর করে ছেপে ফেলেছেন। তোমরা ভাল থাক। খুব ভাল থাক। এই শুভ কামনা আমি সব সময় করি। এই পৃথিবীতে আমার সবচে' প্রিয় দু'টি জিনিসের একটি হচ্ছে- জোছনা রাত। অন্যটি শিশু। আচ্ছা, বড়রা ছোটদের এত পছন্দ করে। ছোটরা কেন বড়দের করে না? হুমায়ূন আহমেদ এলিফেন্ট রোড। |