বিবরণ |
ইরানে সিআইএ-র গোয়েন্দা তৎপরতা অনেক বছর ধরেই চলমান, যা সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে আগ্রহ ও আলোচনার মূল বিষয়। ভৌগোলিক অবস্থানের সুবাদে ইরানের রয়েছে কৌশলগত সুবিধা, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বেশ জটিল। সিআইএ-সহ বিশ্বের অনেক দেশের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির বিশেষ নজরে এসেছে ইরান। বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য মূলত ইরানে ইন্টেলিজেন্স অপারেশন পরিচালনা করে থাকে সিআইএ। যেমন দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আঞ্চলিক কর্মকাণ্ড। বিভিন্ন উপায়ে পরিচালিত হয় এসব অপারেশন। যেমন: HUMINT (Human Intelligence), SIGINT (Signals Intelligence) ও সাইবার অভিযান। ইরানের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের মূল্যবান ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের জন্য সিআইএ নিজেদের এজেন্ট, ইনফর্মার ও নজরদারি সক্ষমতার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল। যাহোক, ইরানে সিআইএ-র ভূমিকা সবসময়ই বিতর্কিত। ইতোমধ্যে মার্কিন-ইরান সম্পর্কে দুশ্চিন্তা বিরাজমান। ইরানের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানের পাশাপাশি দেশটির সার্বভৌমত্বের ওপর সিআইএ আঘাত হানে বলে ইরানি জনগণের অভিযোগ রয়েছে। সিআইএ-র অত্যধিক বাড়াবাড়ির দরুণ উভয় দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে এবং বৈরিতা বেড়েছে। এটা উল্লেখ করা জরুরি যে, ইরানে সিআইএ-র অভিযানের অনেকাংশই থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। আর তাই সংবাদপত্র বা বইয়ে যা জানা যায়, তা খুবই সামান্য। তবে সারা বিশ্ব জানে, ইরান থেকে ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের পর সিআইএ তা মার্কিন নীতিপ্রণেতাদের কাছে পাঠায়, যাতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায় মধ্যপ্রাচ্যে। মূলত এই এলাকায় ইরানের আধিপত্য রুখে দিতেই সিআইএ-র এত আয়োজন। |