লেখক | ড. মিজানুর রহমান আজহারি |
---|---|
বিষয় | ইসলামিক |
প্রকাশক | গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস |
ISBN | 978-984-96584-3-6 |
---|---|
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 256 |
সংস্করণ | ২৮ ফেব্রুয়ারি,২০২৩ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিবরণ | দয়াময় রব গোটা সৃষ্টিজগৎকে সাজিয়েছেন অপরূপ নৈপুণ্যে, সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন অনুপম কারুকার্যের হাজারো নিদর্শন। কত বদল আর বৈচিত্র্যে ঠাসা এ চরাচর! যেন প্রভুর পরম আসমানি স্পর্শ লেগে আছে প্রতিটি কোণে। একেক সৃষ্টিকে তৈরি করেছেন একেক ব্যঞ্জনায়। এজন্যই তো অহংকার তাঁর আপন চাদর। আমাদের যত প্রার্থনা ও স্তুতি —সকলই কেবল তাঁকে ঘিরে। তিনিই মানুষকে পাঠিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়; একে অন্যের ভূষণরূপে। আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন উত্তম রিজিকে, প্রখর মেধা আর তারুণ্যের প্রাণোচ্ছল চঞ্চলতায়। ভরসার ছায়া আর অবারিত অনুগ্রহে আগলে রেখেছেন তামাম কুল-কায়েনাত। এসবরই স্বচ্ছন্দ ও সুখপাঠ্য পর্যালোচনা হাজির করেছেন বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় দাঈ শাইখ মিজানুর রহমান আজহারি। সেইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মের সামনে পেশ করেছেন সুস্থ-সুন্দর, সময়োপযোগী ও ঈমানদীপ্ত জীবনের নববি চালচিত্র। সময়ের সবুজ সওয়ারিদের আহ্বান করেছেন গৌরবময় সত্যের পথে। |
লেখকের নাম | ড. মিজানুর রহমান আজহারি |
---|---|
পরিচিতি | মিজানুর রহমান আজহারী (২৬ জানুয়ারি ১৯৯০) একজন বাংলাদেশি ইসলামি বক্তা, ধর্ম প্রচারক ও লেখক।[২][৩] তিনি ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।[৪][৫][৬] তিনি নিজেকে মধ্যমপন্থী ইসলামী আলোচক দাবি করেন এবং আলোচনা করে থাকেন।[৭][৮][৯][১০] প্রাথমিক জীবন মিজানুর রহমানের পিতা একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও মাতা গৃহিণী।[১১] ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকা জেলার ডেমরা থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে।[৮] তিনি ছোট বেলা থেকে মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। পরে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পান। মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কারণে তার নামের সাথে ‘আজহারী’ উপাধি যুক্ত হয়েছে।[৮] মিজানুর রহমান ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।[৮] শিক্ষাজীবন আজহারী দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে যথাক্রমে ২০০৪ সালে দাখিল ও ২০০৬ সালে আলিম পাশ করেন। তিনি উভয় পরীক্ষাতেই বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে মেধাতালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। ২০০৭ সালে ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিশরীয় সরকারের স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীকালে তিনি মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে তাফসির ও কুরআনভিত্তিক বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার এমফিলের গবেষণার বিষয় ছিল ‘হিউম্যান এম্ব্রায়োলজি ইন দ্য হোলি কুরআন’ (পবিত্র কুরআনে মানব ভ্রূণবিদ্যা)। তারপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন।[৮][১২][১৩] তিনি ‘হিউম্যান বিহ্যাভিয়ারেল ক্যারেক্টারইসটিক্স ইন দ্য হোলি কুরআন অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল স্টাডি’ (পবিত্র কুরআন ও বিশ্লেষণী গবেষণায় মানব আচরণগত বৈশিষ্ট্য)-এর ওপর ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভাইভার মাধ্যমে সফলভাবে পি.এইচ.ডি. গবেষণা সম্পন্ন করেন।[১৪][১৫][১৬][১৭] কর্মজীবন আজহারী ২০১০ সালে ইসলামি গজল ও কিরাত দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি এটিএন বাংলা টিভির একটি ইসলামি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে তিনি ওয়াজ-মাহফিল নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।[১৮][১৯][২০][২১] বৈশাখী টেলিভিশনে ‘ইসলাম ও সুন্দর জীবন’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠান করেছেন।[৮] জনপ্রিয়তা ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলেও নিজেকে সমসাময়িকভাবে উপস্থাপন করা ও কুরআন-হাদিস বিষয়ক সহজ-সাবলীল ও গবেষণাধর্মী আলোচনার কারণে অল্প সময়ে তিনি বাংলাদেশের মুসলিম বিশেষত মুসলিম তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার মাহফিলে প্রায়শই তার মাধ্যমে বিভিন্ন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন।[২২] তার তাফসির মাহফিলে সাধারণ মুসলিম ও তরুণদের ব্যাপক জনসমাগম দেখা যায়।[ |