0

কার্টে কোনো বই নেই

product image page image
↑ একটু পড়ে দেখুন
মৃত্যুবাড়ি
Wishlist

Wishlist

৳২৫৩ ৳৩০০ ১৬% ছাড়!
  • ৭ দিনের রিটার্ন পলিসি
  • ক্যাশ অন ডেলিভারি এভেইলেবল
  • স্টক:২০টি কপি স্টকে আছে
ISBN 9789849741039
পৃষ্ঠা সংখ্যা 127
সংস্করণ 2024
দেশ বাংলাদেশ
ভাষা বাংলা
বিবরণ এক ঝড়ের রাতে মিরাজের বাসায় উপস্থিত হয় অপূর্ব সুন্দরী দিশা। মানবিকতার খাতিরে দিশাকে রাতে থাকতে দিতে সম্মত হয় মিরাজ। দিশার হাতের রান্না খেয়ে তার ভক্ত হয়ে যায় মিরাজ। দিশার সাংসারিক নানাগুণে ধীরে ধীরে মোহিত হতে থাকে সে। সম্পর্কটা যখন ভালোলাগা থেকে ভালোবাসার দিকে এগোতে থাকে তখনই মিরাজ জানতে পারে দিশাকে পছন্দ করে অশরীরী শক্তির অধিকারী মৃত্যুবাড়ির ভয়ংকর কালাবাবা। মৃত্যুবাড়িতে প্রবেশ করলে রক্তপানে হয় কালাবাবার ভক্ত হতে হয়, নতুবা মৃত্যুবরণ করতে হয়। খুব কম সংখ্যক মানুষই আছে ফিরে আসতে পেরেছে মৃত্যুবাড়ি থেকে। এদিকে কালাবাবা নির্দেশ দিয়েছে দিশাকে মৃত্যুবাড়িতে যাওয়ার জন্য। দিশা যেতে চায় না। মিরাজও মরিয়া হয়ে উঠে দিশাকে রক্ষা করতে। কিন্তু কালাবাবার অশরীরী শক্তির সাথে সে পেরে উঠে না। এমনকি সাধু সাদাবাবার তাবিজও রক্ষা করতে পারে না দিশাকে। এক সময় ঠিকই কালাবাবা অশুভ শক্তির বলে দিশাকে নিয়ে যায় মৃত্যুবাড়িতে। পাগলপ্রায় মিরাজ নিজেও ছুটে যায় মৃত্যুবাড়ির গেটে। তার সামনে দুটো পথ খোলা এখন। হয় ফিরে যেতে হবে, নতুবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃত্যুবাড়িতে প্রবেশ করে দিশাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়। মৃত্যুবাড়ির ভিতরে পা রাখে সে। সাথে সাথে বন্দি হয় রক্তপিপাসু মানুষরূপী কালাবাবার ভক্তদের হাতে। এখন তার রক্তপানে কালাবাবা আর তার শিষ্যরা উদ্যাপন করবে রক্তউৎসব! এমনকি তার রক্ত পান করানো হবে দিশাকেও! শেষ পর্যন্ত কী মুক্তি পেয়েছিল মিরাজ? নাকি তাকে বলি হতে হয়েছিল রক্তউৎসবের আনুষ্ঠিকতায়? আর কী ঘটেছিল অপূর্ব সুন্দরী দিশার জীবনে?
লেখকের নাম মোশতাক আহমেদ
পরিচিতি লেখক মোশতাক আহমেদ এর জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলায়। পেশায় একজন চাকু‌রিজীবী হওয়া সত্ত্বেও লেখালেখির প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রচুর। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন নিয়েই সবচেয়ে বেশি লিখেছেন। বাংলা সায়েন্স ফিকশন জগতে তার পোক্ত একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মোশতাক আহমেদ এর বই সমূহ ভৌতিক, প্যারাসাইকোলজি, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্ল্যাসিক, ভ্রমণ ইত্যাদি জঁনরাতে বিভক্ত। যেকোনো একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতেই পছন্দ করেন। মোশতাক আহমেদ এর বই সমগ্র সংখ্যায় পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ছিল ‘জকি’। এটি একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। ২০০৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। মোশতাক আহমেদ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ফার্মেসি বিভাগে, পরে আইবিএতে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধবিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনার খাতিরেই হোক বা কর্মজীবনের তাগিদেই হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক ভ্রমণ করেছেন। সেসব ভ্রমণকাহিনীর আশ্রয়ে তাই ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলোও। তাঁর সৃজনশীল কর্মকাণ্ড শুধু লেখালেখিতেই গণ্ডিবদ্ধ নয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাজারবাগের পুলিশ ও পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মোশতাক আহমেদ ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এটি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পায়। তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে এ পর্যন্ত রয়েছে ২০১৩ সালের কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৫ সালের সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার এবং সর্বশেষ সংযুক্তি হিসেবে সায়েন্স ফিকশন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭।