বিবরণ |
রমাদান বা রোযা বিষয়ে অসংখ্য পুস্তক থাকলেও এ সম্পর্কিত সব আলোচনা এক মলাটে নিয়ে এসে একটি সামগ্রিক পুস্তকের শূন্যতা উপলদ্ধি করেই মূলত এটি প্রণয়নের প্রয়াস নেয়া হয়েছে। আলোচনার সুবিধার্থে বইটিকে ৫টি অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে রমাদানের প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। রমাদানের প্রস্তুতি মূলত হিজরী ৭ম মাস রজব থেকেই শুরু হয় এবং শা'বানে তার পূর্ণতা পায়। এ জন্য শা'বানের গুরুত্ব, ইতিহাসের পাতায় শা'বান মাস, এ মাসের আমল এবং এ মাসের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় তথা শবে বরাত নিয়ে দালিলিক পর্যালোচনা তুলে ধরা হয়েছে। আহলান সাহলান মাহে রমাদান শিরোনামে দ্বিতীয় অধ্যায়টি রমাদান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এ মাসের অবস্থান, এ মাসকে স্বাগত জানাতে করণীয়, রমাদান পরিকল্পনা বিষয়ের আলোচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশেষত এখানে ছোটোদের রোযার প্রস্ততি বিষয়ে পৃথক একটি আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। রমাদানের রোযা ফরজ হওয়ার উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সুন্নাহসম্মত যেসব আমল রয়েছে সেগুলো আলোচিত হয়েছে তৃতীয় অধ্যায়ে। সেখানে রোযা পালন, সালাতুত তারাবীহ, সাহরী, ইফতার, কিয়ামুল লাইল, কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন, দুআ-জিকির, ইতিকাফ, লাইলাতুল কদর, সাদাকাতুল ফিতর ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য দলীল-প্রমাণের ভিত্তিতে চুলচেরা বিশ্লেষণের প্রয়াস নেয়া হয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে রয়েছে রোযা সংক্রান্ত বিভিন্ন মাসায়েল। এক্ষেত্রে আধুনিক ও জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে। পাশাপাশি রোযা সংক্রান্ত মৌলিক মাসআলা যেমন রোযা নষ্ট বা মাকরুহ হওয়ার কারণ ও শর্ত, যাদের রোযা না রাখার অনুমতি আছে, ফিদইয়া, কাফফারা ইত্যাদি। এ অধ্যায়ের অন্যতম সংযোজন হলো, রোযাদারের চিকিৎসা বিষয়ক বিধানের আলোচনা। তাতে রোযাদারের জন্য আধুনিক বিভিন্ন চিকিৎসা মাধ্যম ও পদ্ধতি ব্যবহারের বিধান তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ পঞ্চম অধ্যায়ে রমাদান পরবর্তী দিনগুলোতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষত রমাদানের আমল কবুল হওয়ার জন্য দুআ, ঈদুল ফিতর, রমাদানের অর্জন যেন নিঃশেষ না হয় বরং রমাদানের আমলগুলো স্থায়ী করা এবং শাওয়াল মাসের ৬টি ও অন্যান্য নফল রোযা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। বিষয়সূচিতে নতুনত্ব ও বিশুদ্ধ দলীল প্রমাণের ভিত্তিতে আলোচনা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যেসব গ্রন্থ থেকে সহযোগিতা নেয়া হয়েছে পাদটিকায় অথবা আলোচনার শেষে উল্লেখ করে তার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। |