বিবরণ |
তিনিই, অর্থাৎ জীবনানন্দ দাশই (১৭ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯-২২শে অক্টোবর, ১৯৫৪; বঙ্গাব্দে ফাল্গুন ৬, ১৩০৫-কার্তিক ৫, ১৩৬১) হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি। বেঁচেছেন মাত্র পঞ্চান্ন বছর কিন্তু প্রভাব যেন দিগন্তবিস্তারী। জীবনানন্দের কবিতা পড়ে আজো কবি হতে চান অনেকে; জীবনানন্দের কবিতার প্রভাব এখনও কবিকুলের মধ্যে সর্বাধিক। অথচ, অবাক হবার মতাে তথ্য হলাে : সমকালে জীবনানন্দের কবিতা অনেক পত্রিকার সম্পাদক না ছেপে তাকে ফেরত পাঠিয়েছেন। এই সম্পাদকদের মধ্যে পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তও ছিলেন। এ রকম প্রত্যাখ্যান পেতে পেতে বােধকরি জীবনানন্দ দাশ তাঁর লেখা অনেক কবিতাই পত্রিকার পাতায় পাঠাতে কুণ্ঠা বােধ করতেন। কবির মৃত্যু-উত্তরকালে যে অনেক কবিতা আর কথাসাহিত্য আবিষ্কৃত হলাে, এর প্রধান কারণই হলাে প্রকাশ করতে কুণ্ঠাবােধ করা। আর পত্রিকায় পাঠাতে লেখকই যেখানে কুণ্ঠিত, সেখানে কোন প্রকাশক সেগুলাে বই আকারে ছাপানাের ঝুঁকি নেবেন? তাই, জীবনানন্দের জীবদ্দশায় তাঁর অনেক লেখা অপ্রকাশিত থেকে যায়। রূপসী বাংলায় স্থান পাওয়া কবিতাগুলাে আছে তার মধ্যে। রূপসী বাংলার কবিতাগুলাে লেখা হয় ১৯৩২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। কিন্তু এগুলাে ছাপতে দিতে কুণ্ঠিত ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। |