লেখক | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
বিষয় | চিরায়ত উপন্যাস |
প্রকাশক | প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা |
ISBN | 9789848795958 |
---|---|
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 396 |
সংস্করণ | 2nd Print, 2023 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিবরণ | শরৎচন্দ্রের উপন্যাসে কাহিনি নয় চরিত্রই মুখ্য। তিনি চরিত্রবিকাশের প্রয়োজন অনুযায়ী কাহিনিকে সাজিয়ে তোলেন; কাহিনির নিপাট পারম্পর্যের নিটোল বুননকে রক্ষা করে চরিত্র নির্মাণ করেন না। ফলে তাঁর উপন্যাসে প্রায়ই ঘটনাপ্রবাহে নানা রকম অসংগতি বা অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়। কাহিনির পূর্বাপর সংস্থাপন প্রসঙ্গে পাঠক মনে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রশ্ন। ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানেও দেখা যায় ঔপন্যাসিক চরিত্রের প্রয়োজনেই কাহিনিকে সাজিয়েছেন, কাহিনির প্রয়োজনে চরিত্রের আমদানি ঘটাননি। জীবনদর্শন যে কোনো উপন্যাসেরই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চরিত্র বিচারে সমাজের প্রচলিত রটনানির্ভর মূল্যায়নের অযৌক্তিকতা এবং অন্তঃসারশূন্যতা প্রতিপাদন করাই ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসের মূল সুর বা মেসেজ। তবে প্রাসঙ্গিকভাবে জীবন ও জগতের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই উপন্যাসটিতে উঠে এসেছে। |
লেখকের নাম | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
---|---|
পরিচিতি | শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ ; ৩১ ভাদ্র ১২৮৩ - ২ মাঘ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।[২][৩] লেখালিখির গুরু মানেন ফরাসি সাহিত্যিক এমিল জোলাকে। তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎচন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।[২] বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার জন্য তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷[৪] এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।[৫] শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে, এবং সেগুলো প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে। |