লেখক | সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভি (রহ.) |
---|---|
বিষয় | ইতিহাস ও ঐতিহ্য: |
প্রকাশক | মুভমেন্ট পাবলিকেশন্স |
ISBN | Na/a |
---|---|
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 104 |
সংস্করণ | 2023 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিবরণ | বাগদাদে আব্বাসি খিলাফতের পতনের পর মুসলিম বিশ্ব একটি অভিভাবকশূন্য সময় পার করে। সারা পৃথিবীতে মুসলিমদের দুর্দশার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়। ক্রুসেডারদের ক্ষুৎপিপাসা প্রবলতর হতে থাকে। পৃথিবীজুড়ে তারা মুসলিমদের হত্যা করে বেড়ায়। মুসলিম ভূখণ্ডগুলো ছোট ছোট প্রদেশ ও অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অনৈক্যের তুমুল তুফান মুসলিমদেরকে শত্রুর সম্মুখে তুচ্ছ খড়কুটায় পরিণত করে। অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নি মুসলিমরা।ইতিহাসের এই করুণ মুহূর্তে ইসলাম ও মুসলিম জাহানের মুক্তির জন্য এবং নতুন করে বিশ্বশাসনের জন্য এক অনন্য অভিভাবকের আবির্ভাব ঘটে। যার নাম উসমানি খেলাফত। মুসলিমদের ইতিহাসে যুক্ত হয় আরেকটি সোনালি অধ্যায়। মহা কুচক্রী ক্রসেডারদের অন্তরে সঞ্চার হয় ত্রাস। আরব থেকে অনারব পৃথিবীর যে প্রান্তেই কোনো মুসলিম অঞ্চল ক্রুসেডারদের ও খৃস্টান সাম্রাজ্যবাদীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেখানেই তারা ছুঁটে গেছেন। নিজেদের রক্ত দিয়ে সেই অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছেন। লেখকের জাদুকরী বর্ণনায় এসব ইতিহাস যেনো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বইটির রচয়িতা সাইয়িদ সুলাইমান নদবি রহ.। ভারতীয় উপমহাদেশে বিগত দুই শতকে যে অল্প কয়জন মনীষা সিরাত, ইতিহাসবিদ্যা ও জ্ঞানগবেষণায় অনন্য উচ্চতা স্পর্শ করেছেন এবং সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। এমন একটি বই বাংলাভাষায় অনন্য সংযোজন নিঃসন্দেহে। |
লেখকের নাম | সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভি (রহ.) |
---|---|
পরিচিতি | ভারত-উপমহাদেশে সিরাতচর্চা, ইতিহাস ও আরবিভাষার সাহিত্য নিয়ে যারা গবেষণামূলক কাজ করেছেন, কর্মগুণে হয়েছেন বিশ্ববরেণ্য—সাইয়েদ সুলাইমান নদবি রহ. তাদের সবচেয়ে অগ্রসারির। ১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ-ভারতের বিহারের দিসনাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশ্ববিখ্যাত নদওয়াতে পড়াশোনা করে সেখানেই দীর্ঘ দিন আরবিভাষার পাঠদান করেন এই প্রাজ্ঞ প্রতিভাধর; পাশাপাশি ছিলেন আন-নদওয়া আরবি পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক। কর্মজীবনে শিক্ষকতা ও সম্পাদনার পাশাপাশি লিখেছেন অসংখ্য কালজয়ী গ্রন্থ, প্রদান করেছেন পৃথিবীখ্যাত সিরাত-বিষয়ক ভাষণ—খুতুবাতে মাদরাজ নামে যা বিশ্ববিখ্যাত। সিরাতুন নবি (যুগ্ম), সিরাতে আয়েশা, আরদুল কুরআন, খৈয়ামসহ যা-ই তিনি লিখেছেন, সেটিকেই করে তুলেছেন পাঠ-অনিবার্য। এসব আকরগ্রন্থ তাকে এনে দিয়েছে অমরত্বের মর্যাদা। তার লেখা ইতিহাসের পাণ্ডুলিপিগুলো শাস্ত্রীয় সংজ্ঞা পার হয়ে হৃদয়কেও স্পর্শ করে প্রবলভাবে। |