0

কার্টে কোনো বই নেই

product image page image
↑ একটু পড়ে দেখুন
ফুড কনফারেন্স (হার্ডকভার)
Wishlist

Wishlist

৳২০০ ৳২৭০ ২৬% ছাড়!
  • ৭ দিনের রিটার্ন পলিসি
  • ক্যাশ অন ডেলিভারি এভেইলেবল
  • স্টক:২০টি কপি স্টকে আছে
ISBN 9789845250665
পৃষ্ঠা সংখ্যা 128
সংস্করণ 2021
দেশ বাংলাদেশ
ভাষা বাংলা
বিবরণ বাংলা সাহিত্যে ব্যঙ্গরসাত্মক লেখকের সংখ্যা বেশি নয়। রঙ্গরসাত্মক রচনার মধ্য দিয়ে বিপুল খ্যাতি লাভ করেছিলেন যে কজন লেখক, তাদের মধ্যে আবুল মনসুর আহমদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। রঙ্গব্যঙ্গ রচনার মধ্য দিয়ে তিনি শুধু রসই উপস্থাপন করেননি, দেশ ও সমাজের অসংগতিগুলােও তুলে ধরেছেন আর আঘাত করেছেন আমাদের অনৈতিক ও আপসকামী মনকে। ফুড কনফারেন্স গল্পগ্রন্থটি প্রকাশের পর আমাদের সাহিত্যজগতে আলােড়নের সৃষ্টি হয়। এ বইয়ের গল্পগুলােতে বিশ শতকের ত্রিশ ও চল্লিশের দশকের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সংঘটিত ঘটনার চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে রঙ্গব্যঙ্গের সরসতায় ।হাস্যরসের অন্তরালে নিহিত কঠোর সমাজবাস্তবতা আজও পাঠককে গভীরভাবে ভাবিয়ে তােলে। লেখক প্রায় আশি বছর আগের নানা অসংগতিকে কেন্দ্র করে রসের চাবুকে যে আঘাত হেনেছিলেন, বর্তমানে পাঠক সেই আঘাতের প্রয়ােজনীতা আরও বেশি করে অনুভব করবেন।
লেখকের নাম আবুল মনসুর আহমদ
পরিচিতি বিশিষ্ট লেখক, দেশভাগের সময়কালের খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ এবং শক্তিমান সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন বিচিত্র গুণের অধিকারী একজন মানুষ। আবুল মনসুর আহমদ এর বই সমূহ বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। তিনি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গাত্মক লেখকদেরও একজন। ‘আয়না’, ‘ফুড কনফারেন্স’, ‘গালিভারের সফরনামা’র মতো কালজয়ী ব্যঙ্গরচনাগুলো আবুল মনসুর আহমদ রচনাবলীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইটি হলো তার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত বই। ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত এ বইটি তার আত্মজীবনীমূলক রচনা। এছাড়াও ‘আত্মকথা’, ‘শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু’- বইগুলোও স্মৃতিচারণমূলক। আবুল মনসুর আহমদ এর বই সমগ্রতে আরো আছে ‘সত্য মিথ্যা’, ‘জীবনক্ষুধা’, ‘আবে হায়াত’, ‘বাংলাদেশের কালচার’, ‘আসমানী পর্দা’, ‘বেশি দামে কেনা কম দামে বেচা আমাদের স্বাধীনতা’ ইত্যাদি। আবুল মনসুর আহমদের জন্ম ১৮৯৮ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে। ১৯১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন আইন পড়বার জন্য। পড়ালেখা করার সময় খিলাফত এবং অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষাজীবন শেষে ৯ বছর ময়মনসিংহে আইন ব্যবসা করেন। এরপর কলকাতায় গিয়ে সাংবাদিক জীবনের সূচনা করেন। ইত্তেহাদ, সুলতান, নাভায়ু, মোহাম্মদী, নবযুগসহ বেশ কিছু পত্রিকায় কাজ করেন তিনি। দেশভাগের কিছুকাল পূর্বেই ইত্তেহাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ দায়িত্বে থেকে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনেও ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনৈতিক জীবনে আবুল মনসুর আহমদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুসারী ছিলেন। ১৯৪০ এর দশকে সক্রিয়ভাবে পাকিস্তান আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি ১৯৫৪ এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রীসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে শিক্ষামন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। আইয়ুব সরকারের আমলে তিনি তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কারারুদ্ধ হন। বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের অন্যতম এক প্রতিষ্ঠাতা তিনি।